বিবাহ বার্ষিকীর সেরা উপহার

বৃষ্টির এক সন্ধ্যায়, আকাশে মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চাঁদ যেন হতাশার আভা ছড়িয়ে দিচ্ছিল। নীলাঞ্জনা, জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরের বৃষ্টি দেখছিলেন। তার মুখে ছিল এক অদ্ভুত মন খারাপের ভাব। আজ তাদের বিবাহ বার্ষিকী। কিন্তু স্বামী রাহুল এখনও বাড়ি ফেরেননি।

হঠাৎ, দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে নীলাঞ্জনার মনটা ঢিপঢিপ করে উঠলো। দরজা খুলে দেখলো, রাহুল হাতে একটা ছোট্ট প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখে হাসি ফুটে আছে।

“শুভ বিবাহ বার্ষিকী, প্রিয়তমা!” রাহুল প্যাকেটটা নীলাঞ্জনার হাতে দিয়ে বললো।

নীলাঞ্জনা প্যাকেটটা খুলে দেখলো, ভেতরে একটা ছোট্ট, সুন্দর গোলাপ ফুল। নীলাঞ্জনার মুখটা মলিন হয়ে গেলো।

“এটাই কি তোমার উপহার?”

রাহুল অবাক হয়ে বললো, “কি হয়েছে? তুমি কি খুশি হচ্ছো না?”

“এই ফুল কি আমাদের বিবাহ বার্ষিকীর উপহার? তুমি কি ভুলে গেছো আমি কতদিন ধরে একটা নতুন নেকলেস চাইছি?” নীলাঞ্জনার কণ্ঠে অভিমানের সুর ছিল।

রাহুল হতাশার সাথে বললো, “তুমি জানো না, আমার অফিসে আজ কত কাজ ছিলো। তোমার জন্য নেকলেস কিনতে পারিনি।”

নীলাঞ্জনা আর কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই রাহুলের ফোন বেজে উঠলো। কথা শেষ করে রাহুল বললো, “আমাকে জরুরি অফিসে যেতে হবে। রাতে ফিরে এসে তোমাকে নেকলেসটা দেবো।”

রাহুল চলে গেলো। নীলাঞ্জনা হতাশার সাথে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো।

কিছুক্ষণ পর, দরজায় আবার কড়া নাড়ার শব্দ শোনা গেলো। দরজা খুলে নীলাঞ্জনা অবাক হয়ে দেখলো, রাহুল হাতে একটা সুন্দর নেকলেস বক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

“তুমি কিভাবে…?” নীলাঞ্জনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।

রাহুল হেসে বললো, “আমি কি বলেছিলাম? তোমাকে নেকলেস দেবো।”

নীলাঞ্জনা নেকলেসটা হাতে নিয়ে বললো, “কিন্তু তুমি তো বললে জরুরি অফিসে যেতে হবে?”

রাহুল বললো, “হ্যাঁ, গিয়েছিলাম। তবে, ফেরার পথে তোমার জন্য এই নেকলেসটা কিনে এনেছি।”

নীলাঞ্জনা রাহুলের গলা জড়িয়ে ধরে বললো, “তুমি সেরা স্বামী! আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *